(তাল-গড়খেমটা)
মরি নিজের ব্যবহারে
মরি নিজের ব্যবহারে।
মোদের নাই একতা, ভণ্ডকথা,
ব্যভিচারি ঘরে ঘরে।।
১। সাম্নে রেখে পিতা মাতা, বলে কুছার কুৎসিত কথা,
শুনে লাগে প্রাণে ব্যাথা,
যে বোল শুনি নাই সেই বোল ধরে।
শুনে কুৎসিত গালি, কুৎসিত বুলি, লজ্জাতে যাই মরে,
হায়রে দারুন বিধি, নিরবধি, এই কথা কি শুনতে পারে।।
২। খুড়ী পিসী জ্যেঠি মাসী, মান্য নাই দিবানিশি,
ব্যভিচারে মত্ত বেশী, মান সম্মান লজ্জা ফেলে দূরে।
গ্রামের যত মান্যবান, তাদের মান্য নাইরে,
তার থেকে ওর মান্য বেশী, বেমানীর মান গেছে বেড়ে।।
৩। মুখেতে নাই হরিনাম, সদা কুবলি কু-কাম,
সৎলোকের ঘটায় বিষম, যাহাতে নাম নিতে না পারে।
সতের সঙ্গে করে ভঙ্গ, দুষ্টা দুরাচারে,
ও তার সতের সঙ্গ নেওয়া হয়না কলি দুষ্টের অত্যাচারে।
৪। আরও কু-চরিত্র হলে নারী, মানেনা শ্বশুর শাশুড়ী,
স্বামী ভাসুর তুচ্ছ করি, ভ্রমে সে নগরে নগরে।
তিনি ঝগড়ার নালা পেলে জ্বালা বাঁধায় তথাকারে,
নারীর মুখের কথায়, করে প্রলয়,
ব্রহ্মাণ্ড ডুবাতে পারে।।
…………………………………
নারী শিক্ষা
রাগিনী-উল্টাকেশি