শুইয়াছে গৌরচাঁদ শয়ন মন্দিরে।
বিচিত্র পালঙ্ক সেজ তাহার উপরে।।
অলসে অবশ তনু গৌর নটরায়।
কি কহিব অঙ্গ শোভা কহন না যায়।।
মেঘের বিজুরী কিবা ছানিয়া যতনে।
কত সুধা দিয়া বিধি করিনু নির্ম্মাণে।।
অতি মনোহর সেজ বিচিত্র বালিশে।।
সুখে নিদ্রা যায় গোরা মনের হরিষে।।
অধম পামর বলে শুন ভক্তগণ।
উষাকালে শ্রীগৌরাঙ্গের কর জাগরণ।।
মহাপ্রভুর জাগরণ (শচীর গৃহে)
উঠ উঠ গৌরচাঁদ নিশি পোহাইল।
নৈদেরবাসী ভক্তবৃন্দ সকলে জাগিল।।
ময়ূর ময়ূরী ডাকে কোকিল করে ধ্বনি।
কত সুখে নিদ্রা যাও গৌরগুণমণি।।
অরুণ উদয় হল কমল প্রকাশ।
তাজিল মধুকর কুমুদিনী পাশ।।
গা তোল বসন পর অঙ্গে কর বেশ।
জাগিল নৈদেরবাসী নিশি অবশেষ।।
কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলি কর উচ্চারণ।
গঙ্গাজল দিয়া মুখ কর প্রক্ষালন।।
মহাপ্রভুর নিদ্রাভঙ্গ
উঠিয়া গৌরচাঁদ বসিয়া আসনে।
সুবাসিত জলে করে মুখ প্রক্ষারলনে।।
গা তোল অবধুত ডাকে গৌরারার।
অদ্বৈত উঠিয়া নিত্যানন্দেরে জাগায়।।
দক্ষিণেতে নিত্যানন্দ বামে গদাধর।
সম্মুখেতে বসিয়াছে অদ্বৈত সুন্দর।।
শ্রীবাসাদি আর যত ভক্তগণ।
মহানন্দে হেরে শ্রীগোর বদন।।
শ্রীগোবিন্দ নরহরি আনন্দে বিহরে।
প্রিয় ভক্তগণ সবে আনন্দে নেহারে।।
\