সুস্নিগ্ধ তিল হরিদ্রা কুঙ্কুম কুস্তুরী।
গৌর অঙ্গে লেপন করে নদীয়া নাগরী।।
সুবাসিত জল আনে কুম্ভেতে পুরিয়া।
অগুরু চন্দন তাহে দেয় মিশাইয়া।।
জয় জয় বলিয়া জল ঢালে গোরমাথে।।
শ্রীঅঙ্গ মুছায়ে দেয় বসন পরাতে।।
সহস্র কাঞ্চন নযেন গৌরগলাহার।
খুলিয়া মাথায় কেশ ঝাড়ে বারে বারে।।
তাতে পুষ্প যেয়ে লাগে নাগরীর গায়।
নয়ন চাতক পানে হাসে গৌরায়।।
অঞ্জলি ভরিয়া পুষ্প সুরধনী ঢালে।
ভঅবে অঙ্গ গদ্ গদ্ রাধা রাধা বলে।।
স্নানাদি তর্পণ করে গৌরনটরায়।
না জানি কি মন্ত্র পড়ে বুঝা নাহি যায়।
ভিজা বস্তু ছাড়ি শুষ্ক বস্তু পরাইল।।
সুবর্ণ পাদুকা আনি পদ প্রক্ষালিল।
লোচন বলে নয়ন মেলে চাও রে গৌরপানে।
মন মজাল কুল ঢুকল সদাসনে।