(তাল-একতালা)
করেছি মহাযজ্ঞের আয়োজন।
লয়ে যজ্ঞেশ্বরী, এস হরি, ক্ষীরোদশায়ী নীরদবরণ।।
জ্বালিয়া বিচ্ছেদ হুতাশন, এ দেহ কাষ্ঠ সম্মিলন,
আমার হৃদয় ঘটে, চিত্তপটে দিয়াছি আসন,
আমার ভজন পূজন, অশ্ব দিব গো
আহুতি দিব এ জীবন যৌবন।।
করিব পুণ্যক্ষয় যজ্ঞ, ধর্ম্মকে করলেম উৎসর্গ,
পঞ্চবিধা ভূক্তি মুক্তি, দিব তায় অর্ঘ্য,
আমি বর্গফল, আমেশ্বর দিব গো,
এ যজ্ঞে দিব, প্রতিষ্ঠা চন্দন।।
এ যজ্ঞের শুন পরিণাম, সর্ব্বস্ব ত্যাগ সর্ব্বস্ব বাম,
নাহি স্বর্গ নাহি মর্ত্ত্য, ফলে নিষ্ফল কাম,
আমা লক্ষ্মী ভাগ্য যজ্ঞে দিব গো,
মনেতে করেছি এই আকিঞ্চণ।।
দশ দশা দশমী দিনে, রসে প্রেম গঙ্গা পুলিনে,
আমি মহাযজ্ঞ, সঙ্গ করিব, যোগাসনে,
যে দিন, ব্রহ্মরন্ধ্য যাবে ফেটে গো,
সেই দিন হবে যজ্ঞ সমাপন।।
স্বামী মহানন্দ কয়, এই দশা ঘটবে যে সময়,
আমার হরিচাঁদের শীতল কিরণ, লাগবে তখন গায়,
ওরে অশ্বিনী তুই হ নিরাশয় গো,
এ যজ্ঞের ফলে কি তোর প্রয়োজন।।