মালা গ্রন্থন
মোট একশত আটটি তুলসী কাষ্ঠের মালা ও একটি যগিল সুমেরু লইয়া নয় লহরযুক্ত সূত্রে মালা গাঁথিবার পর প্রত্যেক মালার পর একটি গ্রন্থি দিতে হইবে, যেন মালার সঙ্গে মালা সংযোগ না হয়। প্রথমে বড় মালা গ্রন্থন আরম্ভ করিয়া ক্রমে ক্রমে ছোটর পর ছোট মালা গাঁথিবে। গোপুচ্ছসদৃশ মালার লহর প্রস্তুত করিবে। সমস্ত মালার মুখ উর্দ্ধমুখী করিয়া গাঁথিবে, ১০৮টি (একশত আটটি) মালা গাঁথা শেষ হইলে দুই প্রান্ত একত্র করিয়া গ্রন্থি দিয়া তদুপরি উর্দ্ধমুখে যুগল মেরু গাঁথিবে। প্রথমে সাতটি মোটা মালার পর বড় একটি মালা রাখিয়া আটটি মালার চিহ্ন রাখিবে। এই অষ্ট-মালাতে ললিতাদি অষ্টসখি বিরাজিত জানিবে। মালা সংস্কার না করিয়া মালা ধারণ ও জপ করিবে না।
চৌষট্টি মোহন্ত আর দ্বাদশ গোপাল।
বৃন্ধা ধনিষ্ঠা কুন্দলতা তাহাতে মিশাল।।
রাধাকুণ্ড শ্যামকুণ্ড গিরি গোবর্দ্ধন।
নন্দরাজ যশোমতি বৃষভানু জান।
উদ্ধব অক্রর আর রাধিকার মাতা।
ময়ুর কোকিল ভৃঙ্গ জটিলাদি তথা।
অষ্টমালা অষ্টসখি অষ্ট যুথেশ্বরী।
গুরুরূপে এক মালা পরিপূর্ণ করি।।
এই সূত্রে একশত নয় মালা জান।
শ্রীগুরুর কৃপা হৈলে পাইবে সন্ধান।।