মায়া আবরণের ও-পারে, শ্রী গুরু গঞ্জে হাট লেগেছে রে
গৌরাঙ্গ অনুরাগী সর্বত্যাগী, ঐ হাটে সদাই করে।।
দেখবি যদি চাঁদের খেলা, চল যাই নদীয়া জেলা, জাহ্নাবী তীরে
চার যুগের যত খেলা, ঐ হাটে আছে খোলা
দেখতে হয় দূরবীন ধরে।।
নিতাইর হাতে নিক্তির কাঁটা, দেয় সে পাঁচটা লয় সে পাঁচটা
সই ওজন করে, রতি মাসা কম হলে
সেই হাটে নাহি চলে, দাখিল মাল সমব দেয় ফিরে।।
হাটের রাজা নিত্যানন্দ, শব্দ স্পর্শ রূপ রস-গন্ধ
বিকায় বদলে, মূল মহাজন রাই কিশোরী
গদিয়ান গৌরাঙ্গ হরি, জিনিস দেয় যারে তারে।।
গৌর গৌর সবায় বলে, কথায় কি গৌরাঙ্গ মেলে
গৌর দেশে না গেলে, ধ্যানী জ্ঞানী অভিমানী
হাটের খবর নাহি জানি, ঘুরে বেড়ায় বাহিরে।।
হাট না চিনে সদাই করে, জাতি সাপের নেঙ্গুড় ধরে
কত অবোধ লোক মরে, কভু কর্ণে নাহি শুনি
আন্দাজী মাল বেঁচি কিনি, মহাপ্রভুর চার ঘরে।।
বলাই চাঁদের আজব কথা, শুনে জীবের লাগে ধাঁধা
মাথা যায় ঘুরে, শ্রীরূপ ভুলে রঙ্গ রসে
পথ হারালি আপন দোষে, ডুবলি না প্রেম সাগরে।।