মা মনসার পূজা প্রচলন
(পয়ার)
একদা কৈলাস মাঝঅরে দেবী হৈমবতী।
করযোড়ে বলিলেন শঙ্করের প্রতি।।
তুমি দেব মহাদেব সর্ব্ব দেবোপর।
তোমার সৃজিত এই বিশ্ব চরাচর।।
সর্পজাতি তুমি প্রভু করিলে সৃজন।
অসংখ্য প্রকার তারা কে করে গণন।।
কোন কোন জাতি হয় এত বিষধর।
দংশনে তখনি জীব যায় যম ঘর।।
কোন কোন সর্ব হয় এরূপ ভীষণ।
স্পর্শমাত্র জীব যায় শমন ভবন।।
এত সু-বৃহৎ দেহ কেহ কেহ ধরে।
সর্ব্বাঙ্গেতে জীবগণে উদরস্থ করে।।
এই সব সর্পভয়ে ভীত জীবগণ।
জীবন থাকিতে যার কখন জীবন।।
কেহবা তোমার পূজা ছাড়ি যায় পলাইয়া।।
জীবের এসব ভয় যাতে দূরে যায়।
কৃপা করি বল নাথ তাহার উপায়।।
হাসিয়া শঙ্কর বলে মুনি তব কথা।
কৌতুহল মনে মোর জাগিতেছে সদা।।
তব প্রণাধিক কন্যা মনসা সুন্দরী।
তাহার মহিমা তুমি জান ভাল করি।।
তাহারে পূজিলে দূর হয় সর্বভয়।
ভব ভয় পর্য্যন্তও হয়ে যায় ক্ষয়।।
শিবের এ হেন বাক্য করিয়া শ্রবণ।
মহেশ্বরী বারখুড়ি বলিল তখন।।
শুষ্ক মুখোচ্ছিষ্ট ফল অধিক মধুর।
ঘনীভুত ক্ষীরে যেন মিশিলে কর্পূর।।
সেইরূপ বাক্য তব মুখ বিনি:সৃত।
পার্ব্বতীর বাক্যে শিব বলেন তখন।
তোমারই জ্ঞাত লীলা করহ শ্রবণ।।