মৃত্যু যখন হবেই হবে ইহা অতি সুনিশ্চয়
তবে কেন মৃত্যু তোমায় করতে হবে ভয়।
তোরে ভয় করিলে অভয় দিবি না, জানি তোর এই পরিচয়।।
তুই যে-দিনে দিবি হানা
মানবি না কারো মানা
তোর স্বাভাব সকলের জানা নির্মম নির্দয়;
প্রেয়সীর পবিত্রপ্রণয় পুত্রকন্যার কাতরবিনয
বন্ধুবান্ধবের অনুনয় তোর কাছে সব পরাজয়।।
ভূচর খেচর জলচরে
প্রাণীজগত চরাচরে
ধরা পড়বে সব তার গোচরে প্রাণী জগত সমুদয়;
পরিত্রাণ পাবে না কেহ ইহাতে নাই সন্দেহ
পঞ্চভূতের জড়দেহ পঞ্চে পঞ্চে হবে লয়।।
মৃত্যুকে অঙ্গীকার করে
সবাই এলো মহিপরে
চলেছে তাই জগৎ ভরে জন্মমৃত্যুর অভিনয়;
পুরাতনের আবর্জনা মৃত্যু করে দেয় মার্জনা
অপূর্ব নতুন জোছনা সৃষ্টি করে দীপ্তিময়।।
মৃত্যু যাহার দ্বারের দ্বারী
আমরা সবাই পুত্র তারি
পাগল বিজয় বলে বলিহারি মৃত্যু কারো নয়;
মৃত্যু তুমি মিত্রের বেশে পৌঁছে দাও অমৃতের দেশে
বিশ্বে চলে যাবো নির্দেশে পাই যেন তার পদাশ্রয়।।