ভবঘুরেকথা

(তাল-কান্ডয়ালী)
যদি পারের আশা কর ও সুজন মনা;
সকালে ধরিও পাড়ি-বসে থেক না।
সদা বল হরি হরি, দু’হাতে হাইল ধরি
শ্রদ্ধা মাস্তুলে দিয়ে, বিবেকের টানা।।

১। ভক্তি বাদাম তুলে দিয়ে, আনন্দ প্রাণে,
প্রেম বায়ুতে খাটাইও, অনুসন্ধানে।
যখন উঠবে ভাবের তুফান, ঢেউ খেলিও হয়ে মগন,
আনন্দ পাবি সর্বক্ষণ, পূরিবে সব কামনা।।

২। কু-মতির ঐ কু-পবন, যদি উথলে,
উল্টা বেয়ে যেও তরী, রাখিও তায় নঙ্গর করি,
মুখে বল হরি হরি, পবনের ভয় রবে না।।

৩। ভোর বেলা ধরিলে পাড়ি, শঙ্কা নাই তাহার,
অনায়াসে উঠে পাড়ি, হয়ে যায় সে পার।
শেষ বেলা ধরিলে পাড়ি, দিবা শেষে বেড়ায় ঘুরি,
অন্ধকারে ডুবায় তরী, দুর্ভোগে মরে সেই জনা।।

৪। প্রহ্লাদ দিয়ৈছিল পাড়ি, অতি সকালে,
মহাসুখে পার হ’য়ে যায়, হরি বল বলে।
প্রহ্লাদ চারি ভাইর কনিষ্ঠ, কর্ম্ম গুণে সর্বশ্রেষ্ঠ।
ত্রি-ভূবনে নাম উৎকৃষ্ট, রল তাহার ঘোষণা।।

৫। আদিত্য কয় দিনে দিনে, দিন ফুরায়ে যায়,
সুখ শয্যায় ঘুমিয়ে রলি, পারের কি উপায়।
হরি গোসাই কয় পারের বেলা,
ঘটবেরে তোর বিষম জ্বালা,
পাড়ি ধর এই ভোর বেলা, পারে যদি যাওরে দীনা।।

……………………………….
লোকশিক্ষা
রাগিনী-বিরোলঅ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!