(তাল গড়খেমটা)
আমার মন চল যাই গুরুর দরবারে
কেন সাধে সাধে সংসারমেদে, বন্দী রলি কারাগারে।।
নির্মল গুরুর কাছারি, তথায় নাই জুয়াচুরি;
কামুকের দণ্ড ভারি আইন অনুসারে।।
গুরু পাস করেছে পরোয়ানা কপট মিথ্যাবাদীর যেতে মানা;
হিংসুকের হয় যন্ত্রণা, কৃপাদণ্ডে জব্দ করে।।
তথায় হয় সাধুর দরবার, অসাধুর নাই অধিকার;
হ’তেছে সুক্ষ বিচার, সত্যের আইন ধরে।।
এবার রতি মায়া কমি হলে, তারে অমনি ধরে দিচ্ছে জেলে;
ছেঁড়া এক কান্থা গলে, রাখছে তারে বেহাল করে।।
ভেঙ্গেছে গুরুর তবিল, করগে ভক্তি আপিল,
অনুরাগ রাখ উকিল, প্রেমিক জুরিদারে।।
তুই খালাস হবি অনায়াসে, শেষে যাবিরে মন মানুষের দেশে;
প্রেমিকের সহবাসে, থাকবিরে মন শান্তিপুরে।।
শ্রীগুরুর বিচার শুনে, যম রাজার শঙ্কা মনে।
শরণ লয়ে চরণে, বলছে করজোড়ে।।
আমি আর যাবনা মতুয়া নগর, যত মতুয়া মাতাল প্রেমে বিভোর
ইচ্ছে হইগে নফর, ঘটলোনা তা কর্মান্তরে।।
গুরুচাঁদ ত্রাণ কর্তা, হরিচাঁদ হরে আত্মা;
গোলোকচাঁদ দিচ্ছে বার্তা, ডেকে উচ্চস্বরে।
দয়াল মহানন্দ বলছে কাঁদি, উঠলো প্রেমের তুফান ওড়াকান্দি;
অশ্বিনী তর্কবাদী ডুব দিলিনা রূপসাগরে।।