শ্রীশ্রীগুরুচাঁদের বিরাট রূপ ধারণ
যাদব মল্লিক আর শ্রীযাদব ঢালী।
একসাথে দোঁহে মিশে হয়ে কুতুহলী।।
উভয়ে বিশেষ প্রাজ্ঞ বংশেতে প্রধান।
দুইজনে এক সঙ্গে ওড়াকান্দী যান।।
একবার ওড়াকান্দী গেল দুই জনে।
প্রণাম করিল দোঁহে প্রভুর চরণে।।
প্রভুর আনন্দ হল দেখি উভয়েরে।
বলিলেন বহু কথা তাদের গোচরে।।
তত্ত্বকথা আলাপনে কাটাইল নিশি।
প্রেমানন্দে শোনে দোঁহে আঁখি জলে ভাসি।।
প্রভাতে উভয়ে গেলে পুকুরের পাড়ে।
এক সঙ্গে চলে দোঁহে সঙ্গ নাহি ছাড়ে।।
পশ্চিম পাড়েতে দোঁহে বসে এক খানে।
পূর্ব্ব পাড়ে গুরুচাঁদ চলে নিজ মনে।।
হেন কালে সে যাদব করে নিরীক্ষণ।
পুকুরের পাড়ে কেহ ছিলনা তখন।।
সুদীর্ঘ বিরাট বাবু অতীব সুন্দর।
দীর্ঘ বাহু দীর্ঘ পদ অতি ভয়ঙ্কর।।
দৃষ্টিভ্রম ভাবি তেহ নয়ন মুছিল।
আরবার সে বিরাট বপুকে দেখিল।।
বার বার দেখি তার সন্দেহ ভাঙ্গিল।
হতজ্ঞান সে যাদব ভূমিতে পড়িল।।
যাদব মল্লিক তারে শুশ্রুষা করিল।
জ্ঞান পেয়ে সে যাদব সকলি কহিল।।
নর নহে গুরুচাঁদ বিরাট পুরুষ।
যাদব কহিল কথা যবে পে’ল হুষ।