শ্রীমদ্রামকান্ত বৈরাগীর উপাখ্যান।
রামকান্ত নামে সাধু মুখডোবা গাঁয়।
বৈরাগী উপাধি তার সাধু অতিশয়।।
রামকান্ত যশোমন্ত আলয় আসিত।
স্ত্রী পুরুষে একত্তরে সাধুকে সেবিত।।
সদা ছিল সে সাধুর উত্তার নয়ন।
শিবনেত্র প্রায় যেন আরোপ লক্ষণ।।
কখন কখন সাধু বেড়াইতে যেত।
কোন কোন ঠাঁই গিয়া উপস্থিত হ’ত।।
সর্বদা থাকিত সাধু মহাভাব হ’য়ে।
কোন কোন ভাগ্যবানে দয়া প্রকাশিয়ে।।
যদি কোন পুত্রবতী সতী নারী পেত।
মা বলিয়া দুগ্ধ পান তাহার করিত।।
সে নারীর গর্ভে যদি হইত সন্তান।
ধনে ধান্যে সুখী তারা সবে ভাগ্যবান।।
ন পুত্র ন গর্ভবতী কোন নারী পেয়ে।
যদি তার স্তন পান করিতেন গিয়ে।।
আহার করিত দুগ্ধ পানের সময়।
স্তন পান অন্তে দুগ্ধ শুকাইয়া যায়।।
যাহা বলি দিত বর তাহাই ফলিত।
বাক্য সিদ্ধ পুরুষের যা মনে লইত।।
একদিন প্রাতে যশোমন্তের গৃহিণী।
পূর্বভাব অন্তরেতে জাগিল অমনি।।
প্রাতঃকৃত্য কৃষ্ণ নাম লইতে লইতে।
ব্রজভাব আসি তার জাগিল মনেতে।।
বাহ্যস্মৃতি হারা হ’য়ে বলে বার বার।
কোথা রাম কৃষ্ণ প্রাণ পুতলি আমার।।
এই ভাব তাহার হইত হৃদিমাঝ।
রচিল তারকচন্দ্র কবি রসরাজ।।