লখিন্দরের জন্ম
চাঁদের দুর্দশা ও গৃহে পুনরাগমন
(ত্রিপদী)
ক্রোধ ভরে সদাগর, ফিরে আসে নিজ ঘরে।
বিবাদ করি মনসার সনে।।
হেতাল লইয়া ফিরে, দেখা যদি পায় তারে
পাঠাইবে যমের সদনে।।
চাঁদের আচার হেরি, রুষ্ট হয়ে বিষহরি
সর্পগণে আদেশ করিল।।
পাইয়া আদেশ তার, ক্রমে ছয় পুত্র তার।
দংশনেতে যম ঘর দিল।।
কঠিন চাঁদের মতি, ফিরিল না তার গতি
মনসারে দ্বেষ করে অনুক্ষণ।।
কিছুদিন এইভাবে, কাটিয়া যাইল যাবে।
চাঁদ ভাবে বাণিজ্য কারণ।।
সপ্ততরী দ্রব্য ভরি, শঙ্করের নাম স্মরি।
ডিঙ্গা ছাড়ি চলিল বাণিজ্যে।।
তখন সনকা সতী, পঞ্চ মাস গর্ভবতী।
চাঁদ গেল জানি সবিশেষে।।
বাণিজ্যেতে গেল পতি, দু:খে দিন কাটায় সতি।
ক্রমে তার গর্ভপূর্ণ হয়।।
দশমাস দশদিনে, শুভলগ্ন শুভক্ষণে।
সনকা প্রসবে এক তনয়।।
পাড়া পড়শি সংবাদ পেয়ে, সত্বর আসিল ধেয়ে।
পুত্র দেখি সবে হয় খুশি।।
রূপে অতি মনোহর, সর্ব্বচিত্ত মুগ্ধকার।
ভূতলে আসিল যেন শশী।।
হেথা চাঁদ সদাগরে, প্রাণে মাত্র বাঁচে বেনে।
তীরে উঠে অতি কষ্ট করি।।
অতিশয় দীন বেেশ, বেড়াইয়া দেশে দেশে।
কোনোক্রমে আসে নিজ ঘর।।
তনয়ের মুখ দেখি, হইল পরম সুখি।
নাম তার রাখে লখিন্দর।।
দিনে দিনে শশীসম, বাড়ি পুত্র নিরুপম।
অধিকারী হল সর্ব্বগুণে।।
চাঁদ ভাবে মনে মনে, উপযুক্ত পাত্রী সনে।
পরিণয় দিবেন তনয়েরে।।