(তাল – গড়খেমটা)
যদি শান্তি ধামে যাবি, নিস্বার্থ গুরুতত্ত্ব, পরমার্থ অর্থ পাবি।
প্রবৃত্তি মহিষী তারে নির্ব্বাসন করিবি-
নিবৃত্তি মহিষীর সঙ্গে, পরম রঙ্গে কাল কাটাবি।।
নিত্য ধন বল যারে, রয়েছে শান্তি পুরে;
শান্তি মা, গেলে দেখা পাবি।
সে যে শান্তি মায়ের সাধনের ধন, প্রাণ সঁপে তায় দিবি;
এক মন দিলে, সে ধন মিলে প্রেমানন্দে সুখে রবি।।
সুজন মন উজান বেয়ে, শান্তিপুর চল ধেয়ে,
ত্রিবেণী এড়াইয়ে প্রেমের জোয়ার পাবি,
শ্রদ্ধা পাল অনুরাগ মাস্তুল, বাদাম টেনে দিবি;
যুতের হালির কাঁটা ঠিক রাখিয়া, শান্তিপুরে নাও লাগাবি।।
মাধুর্য্য ভক্ত যে জন, শান্তিপুরের মহাজন,
বিলাচ্ছে অমূল্য ধন, আয় তোরা কে নিবি।
পবিত্রময় দেহ হলে, সেই সে প্রাপ্ত হবি;
অপবিত্র দেহ হলে, সঞ্চিত ধনে বঞ্চিত হবি।।
শান্তিপুর ভাবের পাগল, প্রেমরসে হয়ে বিভোল;
করতেছে প্রেমের কল্লোল, দেখলে পাগল হবি।।
হরি বলে বাহুতুলে, সেই দলে মিশিবি,
যেই পাগলের সঙ্গ নিলে, তাপিত অঙ্গ জুড়াইবি।।
পাগলের শিরোমণি, হরিচাঁদ গুণ মণি
শান্তিপুর দিন রজনী, উদয় অক্ষয় রবি।
গোঁসাই গোলোকচন্দ্র মহানন্দ সেই পাগলে ভাবি;
অশ্বিনী তোর চিত্ত সন্দ, একে কালে সব ঘুচাইবি।।