(রাগিণী সিন্ধু-তাল ঠুংরী)
শুন্ তোরে কই মনোমোহন।
তুই তিক্ত রসে লিপ্ত হলি ভুলে সুধার আস্বাদন।।
জন্মাবধি করে এত, শিখলি না তুই শিখার মত,
মন হলি না মনের মত, আর কত ঘুরাবি মন।।
সামান্য ধন পাবার আশে, ঘুরলি কেবল হুস বেহুসে,
নিধন কালে, সেধন কি তোর, ধনের কাম দিবেরে কখন।।
সাধ করে পেতে বিছানা, পুষেছ এক বাঘের ছানা,
সে যে রক্ত খেয়ে শক্ত হয়ে, নিল তক্ত সিংহাসন।।
ফচকা বাঁধের হেচকা টানে, মন আমার ঠেকেছ প্রাণে,
বুঝলি না তুই দিন যে গণে, দিন দুনিয়ার মহাজন।।
মন তোমার স্বভাব দোষে, আমি আমার মন মানুষে,
পারলেম্ নারে রাখতে হুসে, করতে পূজা মনের মতন।।
কই আমি মন তোমার কাছে, এখনও তোর সময় আছে,
ঠিক্ থাকিস্ তুই আগে পাছে, ঠিক রাখিস্ গুরুর চরণ।।
……………………………
আরো পড়ুন: মহর্ষি মনোমোহন ও মলয়া সঙ্গীত