(রাগিণী সিন্ধু-তাল ঠুংরী)
শুন বলি পাগলের চেলা।
পাগল হওয়া নয় সামান্য, দেবের মান্য পাগল ভোলা।।
এক পাগল হয় নারদ ঋষি, বীনা বাজায় দিবানিশি,
আর এক পাগল বাজায় বাঁশি, বাসা করছে কদমতলা।।
আর এক পাগল হয় হনুমান, রামরূপে ধরেছে ধ্যান,
বক্ষ চিড়ে দেখাইল নাম, ছিড়িল মুকুতার মালা।।
আর এক পাগল গৌরহরি, ডোর কৌপীন ধারণ করি,
হরি হলে বলছে হরি, স্কন্ধে নিয়ে ভিক্ষার ঝুলা।।
(যদি) পাগল হওয়া ভালো লাগে, মন পাগলারে ধরগে আগে,
ঐ পাগল তার সঙ্গে থাকে, সব পাগলামী যাহার খেলা।।
মনোমোহন তার স্বভাবেতে, পারল না সে পাগল হতে,
কামিনী কাঞ্চন হাতে, লাগাইল পাগলের তালা।।
……………………………
আরো পড়ুন: মহর্ষি মনোমোহন ও মলয়া সঙ্গীত