শুন শুন ওরে বাঁশি অবলার কুলবিশি
শুন বাঁশি মিনতি আমার।।
তোমার মধুর ধ্বনি মন প্ৰাণ উন্মাদিনী
বাঁশি না বাজিও আর।
ঘরে গুরুজন বৈরী তুমি ডাক নাম ধরি
লাজ ভয় নাহিক তোমার।।
এই তো ব্ৰজনগরে কেবা না পিরিতি করে
কেবা কাকে ডাকে নাম ধরি কার
প্রথম রন্ধ্রের গানে মধুর পরশিল কানে
গৃহকর্ম মনে নাহি আর।।
দ্বিতীয় রন্ধ্রের গানে তনুমন সদা টানে
কেবা পারে ধৈর্য ধরিবার।।
তৃতীয় রন্ধ্রের গানে ঋষি মুনি ভঙ্গ ধ্যানে
কুল নাহি গৃহে থাকা ভার।।
পঞ্চম রন্ধ্রের গানে উন্মাদিনী কৈরে
ঘটাইলে কলঙ্ক রাধার।।
ষষ্ঠ রন্ধের গানে যমুনা বহে উজানে
গৃহে থাকে শক্তি আছে কার।।
সপ্তম রন্ধ্রের গানে গলিত করে পাষাণে
শ্ৰী রাধারমণে কয় জীবন হইল সংশয়
বাঁশি তুমি না বাজিও আর।।