লঘু-ত্রিপদী
শ্যাম নটবর নবীন কিশোর
তুমিত ব্রজের হরি।
পীতবাস গলে বনমালা দোলে
চরণে নুপুর হেরি।।
করেতে বাঁশরী মুকুন্দ মুরারী
ত্রিভঙ্গ বঙ্কিম বাঁকা।
কিরূপ দেখালে আমাকে ভুলালে
মস্তকে ময়ূর পাখা।।
তুমি কাল শশী মৃদু মৃদু হাসি
তুমি গোবর্ধনধারী।
পুতুনা নাশন কালীয়া দমন
বকাসুর বধকারী।।
দাবাগ্নি মোক্ষণ চরাতে গোধন
বিধাতার দর্পহারী।
ননী চুরি কর বাঁধে তব কর
যশোমতি ক্রোধকরি।।
বসন হরিলে যমুনার কূলে
তুমিত রসিক মণি।
নিস্কাম স্বভাব ব্রজগোপী সব
তোমাকে খাওয়াত ননী।।
রাখালের সনে ভ্রম বনে বনে
তুমিত রাখাল রাজা।
শ্রীমতির সনে গিয়া নিধু বনে
কালীরূপে খাও পূজা।
রাসলীলা করি লইয়া কিশোরী
করিলে রসের খেলা।
আমাকে ভুলালে সে রূপ দেখালে
তুমিত চিকন কালা।।
মনে বাঞ্ছা করি যাব ব্রজপুরী
দেখিব দেখিব যারে।
ব্রজে না যাইব তব দাস হ’ব
দেশেতে যাব না ফিরে।।
তুমি সেই জন মদন মোহন
ভাগ্যেতে দর্শন ঘটে।
কমল কাঁদিয়া বক্ষ ভাসাইয়া
পাদপরে মাথা কুটে।।
শুনিয়া ক্রন্দন বলেন তখন
হরিচাঁদ দয়াময়।
রাখিব তোমারে আমার আগারে
নাহিক তোমার ভয়।।
কমলের আশা মিটিল পিপাসা
পেয়ে সে কমল আঁখি।
হরিচাঁদ মোর করুণা সাগর
অধমে দিওনা ফাঁকি।।