(সুর- একতালা)
শ্রীহরি সেবিকা, ভুবন পালিকা, আনন্দে বিভোর হয়ে।
আলু থালু বেশে, সখীগণ পাশে, কহিতে লাগিল গিয়ে।।
আজি লো সজনী, মধুর কাহিনী, কহিব তোমাদের পাশে।
নিশি অবশেষে, আজি নিদ্রা বেশে, শুনিনু ঘুমের অলসে।।
কে যেন কহিছে, তপন উদিছে, পোহাইল বিভাবরী।
সে স্বর শুনিয়া, নয়ন মেলিয়া, দেখিয়া উঠিনু শিহরী।।
জ্যোতি বিথারিণী, সুপ্রিয় বাদিনী, বালা এক মম ঘরে।
সেই দেব বালা, কহিতে লাগিলা, করুণা করিয়া আমারে।।
হরি দয়াময়, জীব ভাগ্যদয়, আসিবে অবনী পরে।
যশোমন্ত ঘরে, পূর্ণার উদরে, ক্ষীরোদ সাগর ছেড়ে।।
কৃষ্ণা ত্রয়োদশী, মধুমাসে পশি, পোহাল সুখের শর্বরী।
প্রভাত হইতে, এ সারা জগতে, আনন্দে বলিবে হরি।।
এ কথা কহিয়া, জ্যোতি বিথারিয়া, দেব বালা গেল চলে।
আনন্দ বারতা, কহিবারে হেথা, এসেছি সুপ্রভাত কালে।।
সকলে মিলিয়ে, হরিগুণ গেয়ে, চল হরি দরশনে।
চির আকিঞ্চন, হইবে পূরণ, দেখে সে দুর্লভ ধনে।।
বল হরি হরি, বদন ভরি, আনন্দে মিলিয়া সবে।
হরি আগমনে, এ ভব ভুবনে, আনন্দ স্রোত বহিবে।।
জগজীব তায়, শ্রীহরি কৃপায়, আনন্দে ডুবিয়া রবে।
সুধন্যের ধন, শ্রীহরি চরণ, হৃদয় উপরে রাখিবে।।
অমূল্য রতন, হৃদয় ধারণ, করিয়া স্বার্থক হইবে।
এ ভবে আসা, মনের আশা, কিছু বাকী না রহিবে।।
………………………….
মহর্ষি শ্রীসুধন্য কুমার ঠাকুর
আগমনীঃ তুক্ক