শ্রী তারকচাঁদের শ্রীপদে
নমো নমো নমঃ কবি সর্ব্বোত্তম
শ্রী তারক রসরাজ।
কবি চূড়ামণি সাধু শিরোমণি
রাখ হে চরণে আজ।।
কবি গুরু তুমি নিজে অন্তর্যামী
তব শিরোপরে রাজে।
রচি’ হরিলীলা, জীবনের বেলা,
কাটা’লে প্রভুর কাজে।।
হে দেব সুমান্য কবি অগ্রগণ্য
সবার প্রণম্য তুমি।
কৃষ্ণসার দলে বাধি হস্তে গলে
চরণে প্রণত আমি।।
করো আশীর্বাদ যে পরম পদ
ঘুচায় ভবের জ্বালা।
জীবনে, মরণে মননে বচনে
সদা যেন করি ভেলা।।
রাজ-রাজ সনে তীর্থাদি ভ্রমণে
দীনে করে যেথা আশা।
অস্ফুট বচন, শিশুটি যেমন,
মূখে নাহি জুটে ভাষা।
গন্ডুষ গ্রহণে, সিন্ধু বারি পানে,
অগস্ত্যেরে শোভা পায়।
শিশু আমি দীন, ক্ষীণ হ’তে ক্ষীণ,
হীন পিপীলিকা প্রায়।।
পিপীলিকা যদি, বসি নিরবধি,
সিন্ধু বারি করে পান।
সাগর হেলায় ঢেউ তুলে যায়
বিন্দু নাহি পড়ে আন।।
পিপীলিকা সম কনা সাধ্য মম,
হরি-লীলা সিন্ধু প্রায়।
তুমি যে অগস্ত্য সাধনে প্রশস্ত
তব পান শোভা পায়।।
হরি-গুরু গীতি অপূর্ব্ব ভারতী
অগতির গতি যাহা।
ঊর হৃদি মাঝ কবি রসরাজ
প্রকাশ করহে তাহা।।
আকুল পরাণে তোমার চরণে
শরণ লইনু আজ।
দিয়ে পদ ধুলি মুছে যত কালি
কথা কও রসরাজ।।