প্রস্তাবনা
ষষ্ঠ বর্ষ পালে প্রভু কঠোর সংযম।
বিংশতি বরষ হ’ল এবে বয়ঃক্রম।।
পিতৃ আজ্ঞা অনুক্রমে এ সময় হতে।
কিছুকাল বাস করে পত্নির সহিতে।।
পতি সতী উভয়ের দৃঢ় ব্রহ্মচর্য।
উভয়ের তেজস্বী যথা মধ্যাহ্নের সূর্য।।
আদর্শ দম্পতি দেখি যত নারী নরে।
দণ্ড বৎ করে পদে অবনত শীরে।।
সবে বলে “কিমাশ্চর্য সাধনা গভীর।
দুরন্ত যৌবন কালে দোঁহে ধীর স্থির।।
নিশ্চয় মনুষ্য নহে এ দেব দম্পতি।
জীব তরাইতে হ’ল ধরাপরে স্থিতি।।
কেহ বলে এই বাক্য কিসের সন্দেহ।
দেব বিনা এই ঘরে আসে নাকি কেহ।।
পূর্ণ ব্রহ্ম হরিচাঁদ এল যেই ঘরে।
সেই ঘরে দেব বিনা কে আসিতে পারে।।
“এ সব হরির খেলা” কেহ বলে কান্দি।
তাঁর কৃপা গুণে হল তীর্থ ওড়াকান্দী।।
যাহার যে ভাব মনে সেই ভাবে কয়।
এ সব আলাপে প্রভু কান নাহি দেয়।।
পিতৃ আজ্ঞা অনুসারে বংশ রক্ষা করে।
ক্রমে চারি পুত্র এক কন্যা জন্ম ধরে।।
জগৎ তারিতে এল হরি-গুরুচাঁদ।
পেয়ে চাঁদ শ্রী গোপাল পাইল আহ্লাদ।।