(তাল-দশকুশী)
সইরে সই এত শুধু সোনা নয়।
সোনার মানুষ ব’টে গলে গেছে প্রেম সোহাগায়।।
মানুষ কাঁচা সোনা, মাজা নব রসানে,
ঝলকে পলকে রূপ দু’নয়নে।
ওরূপ হেরিলে কুল যায়, কুলজার কুল যায়, শেষে প্রাণ যায়
ও প্রাণ যায় যদি, সেও ত’ ভাল, তারে পাওয়া যায়।।
সঙ্গে আর এক মানুষ রজত সোনায় ঘেরা,
চাঁদ যেমন বিদ্যুৎ মাখা, মন হরা।
তারে হেরিয়া দিবাকর, মলিন হয়ে রয় না কর, মলিন নিশাকর
পদ-নখরে পুষ্পবন্ত যোগ উদয়।।
ও যার রূপের ছাপা, দিয়াছে দু’জনার গায়,
সে আবার কেমন মানুষ রয় কোথায়।
সে জন মানে না মহাজন, তারে পাবে কোন জন, করে কোন ভজন
সে জন সুজন কি, যার নাই নারী বধের ভয়।।
জেনে জানিস না সই, গারদ ভাঙ্গা চোর ওরা,
কি দেখে পাগলিনী হস তোরা।
যে জন ফেরারের চোর নির্বোধ, কেন ভাঙ্গল গারদ, মহাজনের ক্রোধ
লবে এইবার শোধ, খাটায়ে ন’দের জেলায়।।
মহানন্দ বলে সেই মানুষ কি পাওয়া যায়,
যারে মজায় সেই বিনে কি অন্যে পায়
আমার সেই মানুষ হরিচাঁদ, পেয়েছে গোলকচাঁদ, চাঁদে মিশিল চাঁদ
সে চাঁদ না পেয়ে তারকের দিন বৃথা যায়।।