দিব্যবস্ত্র পরিধান করে প্রভাবতী।
করবী সোনার পাতি দিলেন যুবতী।।
পরিল সকল অঙ্গে চারু আভরণ।
ভুবনমোহন রূপ হইল তখন।।
সাধু বলে নিবেদন করি বিদ্যমান।
অনুমতি দেহ সবে করি সম্প্রদান।।
শুনিয়া সাধুর কথা সবে হৃষ্টমতি।
অনুমতি করে তুষ্ট হইল ধনপতি।।
স্বন্তিবাচন করি সাধুর নন্দন।
বেদোক্ত বিধানে কন্যা করে সমর্পণ।।
জয় জয় শব্দ হইল সাধুর ভবনে।
হরি হরি মুখ ভবি বলে সর্ব্বজনে।
গোবিন্দ সাধুর পুত্র পরম পণ্ডিত।
করিল বিবাহ কর্ম শাস্ত্রের বিহিত।।
বিনয় করিয়া বাক্য বলে ধনপতি।
তোমাকে দিলাম মোর কন্যা প্রভাবতী।।
ইহার যতেক গুণ প্রকাশ করিবে।।
অপরাধ হলে তাহা মানিয়া লইবে।
সাধুর রমণী শেষে লয়ে নারীগণ।
জামাতা আনিয়া ঘরে
করেন বরণ।।
জামাতা-কন্যাকে রাখি শয়ন মন্দিরে।
পরম আনন্দে সবে গেল নিজ ঘরে।।
প্রভাত হইল রাতি রবির উদয়।
সামাজিক যত ছিল করিল বিদায়।।
বিদায় করিয়া সবে চিন্তে ধনপতি।
বাণিজ্য করিতে সাধু করিলেন মতি।।
জয়পতি ডাকাইয়া বলিল বচনে।
আপনার দেশে তুমি করহ গমন।।
জামাতা রাখিয়া যাও আমার আলয়।
এই অনুমতি তুমি কর মহাশয়।
বিনয়-বাক্যেতে তুষ্ট হয়ে সদাগর।।
আপনার দেশে সুখে চলিল সত্বর।
বিদায় করিয়অ সবে সাধু হৃষ্টমন।
দাঁড়ি মাঝি সংবাদ দিয়া আনিল তখন।।
সাজাইয়া নব-ডিঙ্গা জলে অবস্থিতি।
বাণিজ্য করিতে যায়া সাধু ধনপতি।
জামাতা ডাকিয়া আনি কহিল বচন।
বাণিজ্যে যাইতে হইবে দক্ষিণ পাটন।
সুযাত্রা করিয়া সুখে দুই সদাগর।
শ্রীদুর্গা বলিয়া উঠে ডিঙ্গার উপর।।
সত্যনারায়ণ সেবা মানস যে ছিল।
ধনে-মত্ত সদাগর মনে পাসরিল।
নৌকার কাণ্ডারী যত চতুর সুজন।
হরি হরি বলি তরী বাহিল তখন।।
রাঘব-সনাতন-গোবর্দ্ধন।
জগাই-মাধাই আর মাঝি ত্রিলোচন।।