ভালি গোরাচাঁদের আরতি বর্ণি।
বাজে সংকীর্ত্তনে মধুরস ধ্বনি।।
শঙ্খ ঘণ্টা কাঁসর আর বাজে করতাল।
মধুর মৃদঙ্গ বাজে শুনিতে রসাল।।
গোরস ঘুত দিয়ে জ্বালায় পঞ্চবাতি।
গৌরাঙ্গ ভক্তগণে করয়ে আরতি।।
বিবিধ কুসুমে গৌর গলে বনমালা।
শতকোটি চন্দ্র জিনি বদন উজলা।।
চন্দ নাচে সূর্য্য নাচে আর নাচে তারা।
পাতালে বাসুকি নাচে বলি গোরা গোরা।।
ব্রহ্মা আদি দেবে যারে করযোড় করে।
সহস্র বদনে ফণী মণিছত্র ধরে।।
ব্রহ্মা নাচে বিষ্ণু নাচে আর নাচে ইন্দ্র।
নদীয়া নগরী নাচে পাইয়া গৌরাঙ্গ।।
শিব শুক নারদ আর ব্যাস বিহারে।
নাহি পরাৎপর তার প্রেমের বিভোরে।।
শ্রীনিবাস হরিদাস পঞ্চম গায়রে।
নরহরি গদাধরে চামর ঢুলায় রে।।
বীরবল্লভ দাসের শ্রীগৌর পদে আশ।
জলদ্ভরি রৈল গোরার মহিমা প্রকাশ।।
(মহিমা প্রকাশ রৈল মহিমা প্রকাশ)