জয় সন্তোষী মাতা তব আরতি করি।
ধূপ দীপ দিয়া দেখি রূপের মাধুরী।।
শঙ্খ বাজে ঘণ্টা বাজে আরতির মাঝে।
ঢাক ঢোল কত ভাবে বাদ্য সব বাজে।।
বিবিধ কুসুম ফুলে বনি বনমালা।
কত কোটি চন্দ্র যেন বদন উজালা।।
ব্রহ্ম আদি দেবতাকে করজোড় করে।
সহস্র বদন ফণি মণি ছত্র ধরে।।
রত্ন জড়িত বসন মণি মতি অতি।
ঝলমল আভরণ প্রতি আগে জ্যোতি।।
স্বর্গ মুকুট মাথায় তব মাতা সাজে।
চরণ কমল উপর নুপুরই বাজে।।
চৌদিকেতে নরনারী করতালি দিয়া।
হুলু হুলু ধ্বনি দেয় গো তব মুখ হেরিয়া।।
এথায় যত নর-নারী মঙ্গল গাও।
তারপর ব্রতীগণ চামর ঢুলাও।।
ফুলের পাঁপড়ি যত উড়ি পড়ে গায়।
সন্তোষী মাতা দেখেন অতি সুখে তায়।।
আরতি দেখিয়া শেষে করি তব আশ।
জগৎ ভরি থাকে যেন মহিমা প্রকাশ।।