(তাল-যৎ)
যদি সাধ ছিল গৌররূপ হবি বলে,
যে বাদ সাধিলে কাঁদি তাই বলে,
আমরা তাই ভাবি ভাই, কেন কানাই হলি ব্রাহ্মণের ছেলে।
এখন বিদ্যার গৌরব বিদ্যাভূষণ, সন্ন্যাসী নামের অন্বেষণ,
অরুণ নয়ন কপ্নি ধারণ, গোছা পৈতা তোর গলে,
রাখতে গোবৎস্য ভায়েসে, বলব না আর হেসে রসে,
উচ্ছিষ্ট ফল কোন সাহসে, দিব চাঁদমুখে তুলে।
এখন ক্ষুধানলে মরবি জ্বলে, অস্নান্ত খাবি কি বলে,
ব্রহ্ম মন্ত্রে গঙ্গাজলে, মরবি কেবল জল ঠেলে,
গোপীর পা’র ধুলা লবি না, নন্দের বাঁধা আর রবি না,
চিবিয়া দিলে আর খাবি না, এই ছিল তোর কপালে।
এখন তোর হল পণ্ডিতের আঁচার, আমাদের নাই আঁচার বিচার,
গোপ ছেলে রাখালের ব্যাভার, ঘুচবে না তা প্রাণ গেলে,
এখন তোরে করব মান্য, ঠাকুর বলে করব গণ্য,
গোপ জাতির স্বভাব জন্য, মান্যগণ্য যাই ভুলে।
এখন জাতি বিদ্যা মহত্তঞ্চ, রূপ যৌবন মেবচ,
প্রেম পথের কন্তক পঞ্চ, তাই জন্মিছ ব্রাহ্মণ কুলে,
গোপীকুলে তাও ছিল না, প্রেম বিনে কেউ পদ নিত না,
পদ ছাড়া প্রেম উপাসনা, তাই ছিল গোপের কুলে।
গিয়া রামানন্দের বিদ্যালয়, পদ শূন্য পদ শুনিয়ে,
সর্বস্ব পদ ত্যজিয়ে, ওড়াকান্দি তাই এলে,
পদ ছেড়ে কয় গোঁসাই গোলক, হা হরিচাঁদ মাতালে লোক,
পদে পড়ে ম’ল তারক, কে তারে ধরে তোলে।