১. যানে আরোহণ করিয়া বা চরণে পাদুকা ধারণপূর্ব্বক ভগবদালয়ে গমন।
২. দোলযাত্রা, জন্মাষ্টমী প্রভৃতি উৎসবসমূহের অনুষ্ঠান বা দর্শনাদি না করা।
৩. শ্রীভগবানের অগ্রে প্রণাম না করা।
৪. উচ্ছিষ্ট বা অশৌচ অবস্থায় ভগবদ্দর্শনাদি।
৫. এক হস্ত দ্বারা প্রমাণ।
নিম্নলিখিত কার্যগুলি শ্রীভগবানের সম্মুখে করিলে অপরাধ হয়-
৬. প্রদক্ষিণকালে দেবতার সম্মুখে আসিয়া একবার ঘুরিয়া না লইয়া প্রদিক্ষণ করা।
৭. পাদ প্রসারণ।
৮. পঙ্কজ বর্দ্ধন অর্থাৎ অস্ত্রাদি দ্বারা পৃষ্ঠ জানুদ্বয় বন্ধন।
৯. শয়ন।
১০. ভোজন।
১১. মিথ্যা কথন।
১২. উচ্চভাষণ।
১৩. পরস্পর কথোপকথন।
১৪. রোদন।
১৫. কলহ।
১৬. নিগ্রহ অর্থাৎ কাহাকেও পীড়নাদি নিষ্ঠুর বাক্য প্রয়োগ করা।
১৭. কম্বল দ্বারা গাত্র আচ্ছাদন করা।
১৮. পরনিন্দা।
১৯. পরস্তুতি।
২০. অশ্লীল বাক্য কথন।
২১. অথোবায়ু ত্যাগ।
এই সমস্ত কার্য্য শ্রীভগবানের সম্মুখে করিলে সম্মুখে করিলে অপরাধ হয়-
২২. শক্তি থাকিতে গৌর অর্থাৎ সামান্য উপচার দ্বারা শ্রীভগবানের পূজা করা।
২৩. অনিবেদিত দ্রব্য ভোজন করা।
২৪. যে কালে যে ফলাদি হয়, সে কালে তাহা ভগবানকে না দেওয়া।
২৫. দ্রব্যের অগ্রভাগ গ্রহণ করিয়া অবশিষ্টাংশ ব্যঞ্জনাদিতে প্রদান করা।
২৬. ভগবানের দিকে পশ্চাৎ উপবেশন করা।
২৭. ভগবানের সম্মুখে অপর কাহাকেও প্রণাম করা।
২৮. গুরুদেবের অগ্রে স্তবাদি না করা।
২৯. নিজ মুখে নিজের প্রশংসা করা।
৩০. দেবতা নিন্দন।
– এ সমস্তই অপরাধ। বিষ্ণুর নিকট এই ত্রিশ প্রকার অপরাধ কীর্ত্তিত হইয়াছে। উপরোক্ত এই সমস্ত অপরাধের কথা উল্লিখিত আছে।
সেবাপরাধ ভঞ্জন
১. সম্বৎসরমধ্যে শৌকর তীর্থে উপবাস থাকিয়া গঙ্গাস্নান করা।
২. অন্ত:ত প্রত্যহ এক অধ্যায় গীতা পাঠ করা।
৩. মথুরাতে উপবাস করিয়া স্নান করা।
৪. তুলসী দ্বারা নারায়ণ পূজা করা।
৫. দ্বাদশীতে বিষ্ণু সম্বন্ধীয় রাত্রি জাগরণে তুলসীস্তব পাঠ করা।
৬. অহোরাত্র নাম কীর্ত্তন করা।
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস