সহং জাত পরং তত্ত্ব হংসাদি পরম লভাতে।
নাহং শ্বাসং পরং তত্ত্ব মনহী পরম জবীকং।।
হ’স’ কায় শাখা দুই হয় রবি শশী।
মধ্যবিন্দু পরম ব্রহ্ম তনুতে প্রকাশি।।
হ করে নির্গম, স করে প্রবেশন।
সদা কাল হইতেছে গমনাগমণ।।
হংস শব্দে সোহং অর্থ মনেতে জানিয়া।
সোহং শব্দে সেই আম দেখহ ভাবিয়া।।
হ’স’ দুই পাখা করিয়া ছেদন।
বিন্দুরূপে পরমাত্মা করহ চিন্তন।।
ইহাকে জানিলে আত্মাচৈতন্য শ্রীচরণ ঈশ্বর।
হবে নবদ্বীপ সহ প্রত্যক্ষ গোপর।।
সর্ব্ব তত্ত্বাতীতে গুরু জীবের জীবন।
হেন গুরু না ভজিয়া জন্ম অকারণ।।
হংসমন্ত্র সোহং অর্থ জপ রাত্রিদিনে।
একুশ হাজার ছয় শতবার হইবে গণনে।।
এই ত কহিনু শাস্ত্র যা আছে লিখন।
মনোযোগ দিয়া ভক্ত করহ শ্রবণ।
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস