মানুষ রূপে খোদা খোদাকে জান।
নফল ঢুঁড়িলে পাবি নাকো, হবি যে হয়রান।।
নূর মানে হয় নিরাঞ্জন, নিরঞ্জন মানে নৈরাকার গঠন,
সৃষ্টি করে জহরা খাতুন খুঁজলে পাবি দেল কোরান।।
নূরের সৃষ্টি কাঙ্গুরী পরে, জ্যোতির্ময় আলো ধরে।
তাহার ছটা লাগলে গায়ে ঠিক থাকে না হারাই জ্ঞান।।
আহাদে আহাম্মদ হইল, আলেফ, হে, দালে লুকায়ে ছিল
মিম্ হরফে কেবা বসে, তার আকার কর বর্তশান।।
অনুমানে আর খুঁজোনা, আল্লা-নবী, আদম, তিন একজনা।
ভিন্ন ভেদ তার রূপ জান না, দ্বারে দ্বারে লীলায় বেড়ান।।
আদমের বাম অঙ্গ হতে হাওয়া বিবি পয়দা তাতে
যেমন একটা সূর্য হয় জগতে, নারী-পুরুষের মন জোগান।।
এক খোদা বল যারে, সকলেতে প্রবেশ করে
ফকির চাঁদ বলে, ‘মানুষ কেরে গুরু ধরে কর তার সন্ধান’।।