(তাল – ঝাপ)
হরিচাঁদের অপার কীর্ত্তি বুঝিতে না পারি।
১। নামে মৃতদেহে জীবন পায়, অন্ধ নয়ন দূরে যায়,
প্রেমানন্দে বলে হরি হরি।
নামে বোবায় ধরেছে তান, মধুর হরি গুণ গান,
পাপী তাপী যেতেছে সব তরি।।
২। আছে কাঁঠালিয়ার হরি গোসাই, তার কীর্ত্তির অন্ত নাই,
চাঁদেশ্বরে পাঠায় গুরুচাঁদ।
কত বাঘ সম্মুখে আয়, নামের গুনে সব পালায়,
গোসাই বদনে বলে হরি।
৩। আছে আরও কত কীর্ত্তি তার, বিবাহের পর,
ঘুমে ছিল শ্বশুরের ঘরে।
ও তাঁর পরীক্ষার জন্য হরি, জাতি সর্প দিলেন ছাড়ি
বাহুতে পেচায়ে থাকে ধরি।।
৪। গোসাই সজাগ হয়ে বসিয়া, সর্ব হস্তে দেখিয়া,
ঝাঁকি দিয়ে ফেলাল সম্মুখে।
সর্ব ফনা ধরে চেয়ে রলে, গোসাই বলে যাও চলে,
তাহা শুনে সাপ যায় ত্বরা করি।।
৫। গোসাই জালিয়ার টেকেতে যায়, কত কীর্ত্তি সেখানে রয়
সেই কীর্ত্তি বলিতে না পারি।
অধম দীনবন্ধু কয়, পরে রব রাঙা পায়
যাহা করে দয়াল শ্রীহরি।।
………………………
শ্রীহরি গোসাইর স্মৃতি গীতি
রাগিনী – দ্রুতা রঙ্গ