অথ মঙ্গলাচরণ
হরিচাঁদ চরিত্র সুধা প্রেমের ভাণ্ডার।
আদি অন্ত নাহি যার কলিতে প্রচার।।
সত্য ত্রেতা দ্বাপরের শেষ হয় কলি।
ধন্য কলিযুগ কহে বৈষ্ণব সকলি।।
তিন যুগ পরে কলি যুগ এ কনিষ্ঠ।
কনিষ্ঠ হইয়া হৈল সর্বযুগ শ্রেষ্ঠ।।
এই কলিকালে শ্রীগৌরাঙ্গ অবতার।
বর্তমান ক্ষেত্রে দারুব্রহ্মরূপ আর।।
যে যাহারে ভক্তি করে সে তার ঈশ্বর।
ভক্তিযোগে সেই তার স্বয়ং অবতার।।
হয়গ্রীব অবতার কপিলাবতার।
অষ্টাবিংশ অবতার পুরাণে প্রচার।।
মৎস্য কুর্ম বামন বরাহ নরহরি।
ভৃগুরাম রঘুরাম রাম অবতরি।।
ঈশ্বরের অংশকলা সব অবতার।
প্রথম পুরুষ অবতার রঘুবর।।
নন্দের নন্দন হ’ল গোলোকের নাথ।
সংকর্ষণ রাম অবতার তার সাথ।।
সব ঈশ্বরের অংশ পুরাণে নিরখি।
বর্তমান দারুব্রহ্ম অবতার কল্কি।।
সব অবতার হ’তে রাম দয়াময়।
দারুব্রহ্ম দয়াময় কৃষ্ণ দয়াময়।।
পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণানন্দ নন্দের নন্দন।
সেই নন্দসুত হ’ল শচীর নন্দন।।
যে কালে জন্মিল কৃষ্ণ পূর্ণব্রহ্ম নয়।
পূর্ণ হ’ল যেকালে পড়িল যমুনায়।।
শচীগর্ভে জন্ম ল’য়ে না ছিলেন পূর্ণ।
দিক্ষাপ্রাপ্তে পূর্ণ নাম শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য।।
তখন হইয়া পূর্ণ সন্ন্যাস করিলে।
আটচল্লিশ বর্ষ পরে মিশিলা উৎকলে।।
সকল হরণ করে তাঁরে বলি হরি।
রাম হরি কৃষ্ণ হরি শ্রীগৌরাঙ্গ হরি।।
প্রেমদাতা নিত্যানন্দ তাঁর সমিভ্যরে।
হরিকে হরয় সেই হরিভক্ত দ্বারে।।
নিত্যানন্দ হরি কৃষ্ণ হরি গৌর হরি।
হরিচাঁদ আসল হরি পূর্ণানন্দ হরি।।
এই হরিচাঁদ লীলা সুধার সাগর।
তারকেরে কর হরি তাহাতে মকর।।