(তাল – একতালা)
হরিচাঁদ দৃষ্টি ভূতে, ভুতে পেল যারে।
কি অদ্ভূদ সেই ভূতের দৃষ্টিরে,
পঞ্চ ভূতের দফা সারে হারে কর্ম্ম সারে।।
নাই তার গুরু জনার ভয়, কণ প্রলাপ বাক্য কয়,
কখন হাসে কখন কাঁদে, কখন ধূলায় গড়ি যায়,
কখন বীরাচারে, হুঙ্কার ছাড়েরে,
কখন করুণ স্বরে রোদন করে, কত রোদন করে।।
নিরাশ্রয় ছাড়া ভিটায় রয়, নাই তার ঘৃণা লজ্জার ভয়,
আহার বিহার পরে, জীবের লাগে ভয়,
ও তার লস্ফ ঝম্প, দেখলে পরে,
কত গৃহবাসী গৃহ ছাড়ে, হারে গৃহ ছাড়ে।।
ভৈরবী ভৈরব রবে, কি যেন বলে কি ভেবে,
সে ভারতী বুঝতে শক্তি, ধরে কি সবে; ও তা বুঝলে,
পরে, কর্ম্ম সারে, অমনি দৃষ্টি ভূতে ধরে তারে, হারে ধরে তারে।।
দৃষ্টি রোগের নাহিকবিধান, আয়ুর্ব্বেদ খুজিলে নিদান,
তন্ত্রে মন্ত্রে সারে না রোগ, হল বৈদ্য হতজ্ঞান; কত ওঝা
বৈদ্য হল হদ্দ, দৃষ্টি রোগ না সারতে পারে, হারে সারতে পারে।।
সে রোগের রোগী হীরামণ, গোলোকচাঁদ মৃত্যুঞ্জয় লোচন,
যার হয়েছে দৃষ্টিরোগ, সে আর সারবে না কখন,
বলে গোঁসাই তারক, সে দৃষ্টিরোগ,
অশ্বিনী তোর ঘটল নারে, হারে ঘটল নারে।।