(তাল-গড়খেমটা)
হরিচাঁদ রূপে পরাণ হ’রে নিল।
পরান হ’রে নিল নয়ন ভূলে গেল,
এমন মোহন মূরতি তনু কেবা গড়িল।।
বাঁকা নয়ন জোড়া ভুরু, আজানু লম্বিত বাহু কটি সরু,
তার রুপেরই ছটায়, কোটি চাঁদ পদে লোটায়,
হরিচাঁদ হেরে চাঁদের কলঙ্ক গেল।।
হেরে হরিচাঁদের ছবি, অধৈরজ হ’লরে প্রাণ ব’সে ভাবি,
আমার একি হ’ল সই, আমি কিসে ধৈর্য্য রই,
হরিচাঁদে হে’রে আত্মা তন্ময় হ’ল।।
সুধাসিন্ধু ম’থে বিধি, নির্জ্জনে গ’ড়িছে সেই গুণ নিধি,
রূপের তুল্য দিতে নাই, গুনে বলিহারি যাই,
ওরূপ নয়ন পথের ছিদ্র দিয়ে হৃদয়ে পশিল।।
নয়ন দিয়ে হরিচাঁদে, দিবানিশি হরি বলেপরাণ কাঁদে,
ও তার রূপ খানি যেমন নামটি তেমন,
জগতের সুধা এনে নামে মাখিল।।
মহানন্দ চকোর হ’য়ে, পাগল হ’য়েছে চাঁদের সুধা পিয়ে,
গোঁসাই তারকচন্দ্র কয়, হ’ল হরিচাঁদ উদয়,
অশ্বিনীর ভাগ্যে সে চাঁদ কই ঘটিল।।