(তাল-ঝাপ)
হরি প্রথম পূর্ন মূলাধার-
তাহার উর্দ্ধবাগে কেউ নাই আর
হরি হইতে সৃস্টি সবাকার।
ছিল পূর্বে অন্ধকার, বিশ্ব স্থলা করা হে,
ছিলেন জ্যোতির্ন্ময় রূপ নিরাকার।
১। গোলক বীহারি হরি, স্বীয় হেদ দু- ভাগ করি,
হয় প্রকৃতি পুরুষ আকার।
দক্ষিণেতে পুরুষ বামে নারী হে-
দোহে আনন্দিত হয় অপার।।
২। সৃষ্টি করিবার তরে, বীর্য্যদান করিলে তারে,
গর্ভে ধরে শত মন্বন্তর।
শেষে ডিম্বাকারে প্রসব করে হে
হয় প্রকান্ড স্বত্ত্ব বর্ণ ধর।।
৩। লজ্জান্বিতা হয়ে সতী, জলে নিক্ষেপিলা অতি
জলে ডিম্ব ফাটিল তৎপর।
হল বিরাট রূপী, জগৎ ব্যাপী হে,
থাকে বহুকাল জলশয্যা পর।
৪। শেষে রাম, কৃষ্ণ, গৌর লীলা করি,
জন্মেন সফলা নগরী, হলে যশবন্তেরি কুমার
সাঙ্গ-পাঙ্গ সঙ্গে পরম রঙ্গে হে,
নিলেন হরিচাঁদ রূপ অবতার।।
৫। বলব কি আর পূর্বের ঘটন, শুনরে দীনা অভাজন,
সাকার ভজন-গুরুর চরণ সার।
হরি গোসাই বলে, অন্ধকারে হে,
জীবে ঘুরে মরে নিরন্তর।।
………………………………
সৃষ্টি তত্ত্ব
রাগিনী-উরুশেন