(তাল – একতালা)
হরি প্রেম বন্যা এসে ভেসে যায়।
আমার জ্ঞান মার্গ, চতুর্ব্বর্গ ধর্ম্ম পূণ্য হল ক্ষয়।।
হরিনাম পবন ডেকেছে, সাগরে তুফান চেতেছে,
যত অভিমানী কর্ম্মী জ্ঞানীর, নৌকা ডুবেছে,
তারা কুল পাব কুল পাব বলে গো,
হরি প্রেম পাথারে সাঁতার খেলায়।
মহাভাব মেঘেরই উদয়, অনুরাগ দেওয়অ গর্জ্জে তায়,
নব রসের বৃষ্টি হয়ে, ধরা ভেসে যায়,
হল নাম সংকীর্ত্তন শিলা বর্ষণ গো
মন্ত্র বীজ শস্যাদি হইল লয়।।
যত সব ফলাফল ছিল, মূল সহ ভাসাইয়া নিল,
আমার মুক্তি তরুর মূলে ভেঙ্গে বন্যায় ডুবাল,
যত বৈদিক ক্রিয়া, গেল ধুয়ে গো
তাই দেখে চিত্রগুপ্ত অবাক হয়।।
প্রেম বন্যা প্লাবিত হয়ে, ত্রিভূবন গেল তলাইয়ে,
গোঁসাই মহানন্দ, তারকচন্দ্র, যায় জোয়ার দিয়ে,
গোঁসাই গোলোকচন্দ্র মকর হয়ে গো,
হুক্কারে কাম কুম্ভীর তাড়িয়ে দেয়।।
হরিচাঁদের ভক্ত যত, দেখে সেই প্রেম বন্যার স্রোত,
পরমহংস হয়ে কেলী করে, হয়ে উন্মত্ত,
গোঁসাই মহানন্দ বলছে ডেকে গো,
অশ্বিনী ডুব দেরে প্রেমের গোলায়।।