(তাল-যৎ)
হরি বল মন রসনা
ভবে এমন জনম আর হবে না।
ওরে ঘটে যুগ পুষ্পবন্ত, এমন দিন তোর আর হবে না।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম
যে নামে জীব প্রাপ্ত হয়, সেই মোক্ষধাম।
হল যে নাম জপে শিব যোগী, শিব শ্মশানে হল বৈরাগী,
কাঁদে যে স্বরূপের লাগি, ন’দেয় সে রূপ কাঁচা সোনা।
ধন্য কলি যুগ ধন্য, ধন্য নিতাই শ্রীচৈতন্য, ধন্য হরিনাম,
এমন নামে মন রসনা হ’সনে বাম,
বিলায়ে নামের সহিত প্রেমধন, রাধার খাস ভাণ্ডারের রতন,
সযতনে কত যতন, পেয়ে রতন হারায়ো না।
প্রহলাদ শুক নারদ ব্যাস আদি, যে নাম জপে নিরবধি, যা না পায়,
এবার তাই পেল জীব, আর কি জীবের আছে ভয়?
ছিল অনর্পিত চরিং চিরাৎ, সমর্পিত সচৈতন্যাৎ,
ধন্য প্রভু সেই সীতানাথ, পূর্ণ হ’ল তার বাসনা।
যুগ মন্বন্তর যায় কতবার ব্রহ্মার দিবসে একবার, এইবার,
জেনে সারাৎসার, সার দোকানী দোকান সার,
আমার গোলকচাঁদ যায় দোকান সেরে, হরিচাঁদের প্রেম বাজারে,
গুরুচাঁদের রূপ সাগরে, তারক কেনে ডুব দিলি না।