( তাল – গড়খেমটা)
হরি লীলা বুঝতে নারে
হরি লীলা বুঝতে নারে।।
দস্যু হয়ে যে জন থাকে, উদ্ধার করে নেয় তাহারে।।
১। যে জন হরিনাম করে সার, দুঃখ যাতনার সীমা নাই তার,
দস্যুকে করে নেয় পার, এইত হরির খেলা।
দুঃখী-জনার দুঃখ বুঝিবে, এমন লক্ষ্য নাই তার,
তারে মনের মত দুঃখ দিয়ে, ভাসায়ে দেয় দুঃখ সাগরে।।
২। (রাজা) হরিশ্চন্দ্র ধার্ম্মিক ছিল, ভার্য্যা পুত্র দান বিকাইল,
রাজ্য ছেড়ে যেতে হল, কত হয় লাঞ্ছনা।
পুত্র মরল সর্পাঘাতে, মায়ের সাক্ষাতে,
দুঃখে শৈব্যা রাণী, কাঁদে তিনি,
(রাজা) হরিশ্চন্দ্র দেখা দেও আমারে।।
৩। নরসিংহ অবতারে, হিরণ্যকশিপুরে,
অষ্ট হস্তে বিনাশ করে, উরুতে রাখিয়ে।
প্রহ্লাদ থাকে করজোড়ে, সম্মুখে দাড়ায়ে,
মুখে হরেকৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, নয়নেতে অশ্রু ঝরে।।
৪। ধ্রুব প্রহ্নাদ ছিল ভক্ত, দুঃখ দিল অতি শক্ত,
সেই কথা বলিব কত, এ ভীষণ ব্যাপার।
হরি গোসাইর মধুর বাণী, শুনরে দীনা দুরাচার,
তোর দস্যু আত্মা কেটে, অনায়াসে যাবি তৈরে।।
…………………………
রাগিনী – ভেরি