কোন রসে কোন রতির খেলা।
জানতে হয় এই বেলা।।
সাড়ে তিন রতি বটে, লেখা যায় শাস্ত্র পাটে
সাধকের মূল তিন রস ঘটে, তিনশো ষাট রসের বালা,
জানিলে সেই রসের ভিয়ান
রসিক তারে যায় বলা।।
তিন রস সাড়ে তিন রতি, বিভাগ করে স্থিতি
গুরুঠাঁই জেনে পাতি; সাধন করে নিরালা,
তখন মানুষ জনম সফল হবে
এড়াবে শমন জ্বালা।
রসরতির নাই বিচক্ষণ, আন্দাজী কি হয় রে সাধন
কিসে হয় পাপ্তি সে ধন; মেটে না মনের ঘোলা,
উজান কি ভেটেনে পড়ি
ত্রিবেণীর ত্রি-নালা।।
শুদ্ধ রসের রসিক হলে, রসতরি উজান চলে
ভিয়ানে সিদ্ধি ফলে; অমৃত মিছরী উলা,
লালন বলে কেবল আমার
শুধুই জল তোলা ফেলা।।