সাধ না মিটিল আশা না পুরি
সকলি ফুরায়ে গেলরে।।
খেটে দিবানিশি করে উপার্জন
দু’চারদিন পেলেম হয়ত গৃহিণীর মন,
মায়া- রাক্ষসিনী সুখের সঙ্গিনী
দূঃখের ভাগী আর না হলরে।।
মন-প্রাণ দিয়ে মম করিয়ে যত
পালিয়ে তুলেছি ঐ পুত্র-কন্য-ধন,
ছেলে মেয়ের মায়া, ছায়াবাজির ছায়
ডার তার ভাবে তারা চলেরে।।
ভাইয়ের ইচ্ছা দেখি-খুবই তারাতাড়
আমি মরিলেই পায় মাতব্বরি,
নিতে ভাগ করিয়, সবেরে ঠকাইয়
তাই তো যেমন ঘঠিলো রে।।
কত আশায় বেঁধেছিলাম বাড়িঘ
রঙ্গ-রসে বসে থাকবো নিরন্তর,
আর তো হলো না বুঝিলাম ছলনা
শমনজারির সময় এলোরে।।
কাল মাথা হল সাদা, চক্ষে দেখি ঘো
বল শক্তি হরিয়ে নিল কেমন চোর,
দন্ত নড়ে-চড়ে,কানে তালি মার
রসে-বাতে ধরে খাইলোরে।।
মরম বেদনায় হয়ে গেলাম সার
তাবিজ বড়ি কতই দিয়ে গেল তারা,
পেটে অগ্নিমান্দ্য, থাকে কোষ্ঠ বন্
দিনে দিনে সব বাড়িলো রে।।
খাইতে গেলে ঠেকে, মুখে রুচি না
ঘৃত-চিনি দুধে কি করিবে ভাই,
তামাক খেতে কাশ ওঠে বারো মা
কত না যন্ত্রনায় পাইলরে।।
আলস্য আসিয়া দেহ করে দিছে মাট
বুঝিতে বাকি নাই, পড়ে গেছে ভটি,
জোড়া তালি দিয়ে, রাখব কি টানিয়
জালালে কয় খোদা বলরে।।