জগতের ভাব দেখিয়া মর
আয়না ধরে সিঁথি কেটে নানা রঙ্গের পোশাক পরি।।
আজ যাহারা বেগার খাটে কাল বসে গিয়া তখ্ত পাটে
দালান কোঠা মন্দির মাঠে সাজায় সোনার পুরী,
হেঁটে যেথে পাও চলে না কিনে মটর গাড়ি
রায় বাহাদুর দেওয়ান ঠাকুর মুখে বলে ডাক ছাড়ি।।
আল্লা নবীর কসম খাইয়া অন্তরে বেইমানী লইয়া
এর মাথা ওর ঘারে দিয়া করে শক্ত চুরি,
মালা তিলক বেশ ভুষণায় ধার্মিক বুঝায় ভারি
কিছুদিন তার কাছে থাকলে তাজ্জব লাগে কর্ম হেরি।।
ঘোড়া বাইয়া খাইতো যারা গদিওয়ালা হইছে তারা
দালান কোঠা পড়ছে পড়া গেছে জমিদারি,
রাজা প্রজায় চিহ্ন নাহি সমানে জাঁক মারি
আঙ্গুল ফুণিয়া হয় কলাগাছ দাঁড়ি রেথে মাতব্বরি।।
করে কতই আমিরানা আঙুর কিসমিস আর বেদেনা
খাইয়া সব ইংরেজী খানা মস্ত মানুষ ভারি,
দেমাগ ভরা অন্তরেতে জানায় বাহাদুরি
জালাল বলে কয়দিন গেলে এর বংশে খায় ভিক্ষা করি।।