সপ্তস্বর্গ, সপ্তপাতাল দেহে নিবসয়।
সেই গূঢ় তত্ত্ব পুন: করিব নির্ণয়।।
স্বলোক মস্তক হয় গলা অন্তরীক্ষ।
স্কন্ধদেশ পৃথিবী সে মহালোক বক্ষ।।
জনলোক পৃষ্ঠপরে রয় বিরাজিত।
তপ:লোক কটিদেশে করি যে বিবৃত।।
ব্রহ্মতালু পরে সত্যলোক অধিষ্ঠান।
কহিলাম এই সপ্তস্বর্গের বিধানে।।
সপ্ত-পাতাল তত্ত্ব কহি পুন: তাই।
সবিশেষ সেই তত্ত্ব শুনহ সাই।।
কটি অধোদেশে হয় তলাতল স্থান।
গুহ্যবেশে বিতল সেই শুনহ ধীমান।।
জঙ্ঘাদেশ তল হয় হাটু তলাতল।
পদের গুল্ফ যথা সেই ত সুতল।।
পদের উপর পৃষ্ঠ রসাতল বিধান।
দেহের তদন্ত আর শুন মতিমান।।
মঞ্জরী ও সখিগণ যেতায় যে, বর্তে।
শুন এবে কহি দেহে মঞ্জরীর তত্ত্বে।।
শ্রীরূপমঞ্জরীর নেত্র শ্রীললিতা লিখি।
শ্রীরতিমঞ্জরী কর্ণে শ্রীবিশাখা সুখি।।
শ্রীরসমঞ্জরী মুখে শ্রীসুচিত্রা তথা।
লবঙ্গমঞ্জরী নাসা শ্রীচম্পকলতা।।
মঞ্জমালী মঞ্জরী কণ্ঠে আর যে সুদেবী।
কস্তুরী মঞ্জরী কক্ষে রাখি রঙ্গদেবী।
শ্রীগুণ-মঞ্জরী গুহ্যে তুঙ্গরেখা আর।
বিলাসমঞ্জরী হস্তে ইন্দুরেখা সার।।
অনঙ্গমঞ্জরী মনে শ্রীরাধিকা রহে।
মঞ্জরীর তত্ত্ব শুন বর্ণিলাম দেহে।।
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস