পারের ঘাটে কত মানুষ মারা যায়
পারের ঘাটে কত মানুষ মারা যায়।
ঘাটে লাগায়ে তরী আশাধারী আছেন মাঝি কিনারায়।।
কামে রত যত জনা
পথ থাকিতে পথ পাবে না,
ঘাটে গিয়ে হবে কানা সেই সময়।
সেই তো নদীর কড়া জলে
সর্প কুম্ভীর কত চলে,
জীবজন্তু খাচ্ছে ধ’রে,
সত্য বটে, মিথ্যা নয়।।
ভাবের মানুষ বল যারে,
তারা কি অযোগে চলে?
অযোগ কুযোগ দেখিলে দাঁড়িয়ে রয়।
গুরু-পদে নেহার দিয়ে,
কুম্ভীরের পৃষ্ঠে পাও দিয়ে,
অনায়াসে পার হয়ে যায়।।
মুরশিদ নাই যার সঙ্গের সাথী,
এ জগতে সেই অনাথী;
ঘাটে যেয়ে যে দুর্গতি,
তা বলিবার নয়।
তারা ফাঁপর মানে সাঁতার দিতে হাঁটুজলে,
খাবি খায় শত শত, ম’রে যায়,
কে করে তার নির্ণয়।।
জোয়ার-ভাটা সেই নদীতে
জানি আমি বিধিমতে,
নঙ্গর জাহাজ কত তাতে মারা যায়।
গোপাল বলে, মন-রসনা,
তার কোন্ জোয়ারে হয় রে লোনা,
কোন্ জোয়ারে মাখন-ছানা,
হংস তাহা কেমনে বাছিয়ে লয়।।
…………………….
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। এই পদটি অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় রাজশাহী ও রংপুর জেলা হতে সংগ্রহ করেন। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….