চল দেখি মন গৌরাঙ্গের টোলে
চল দেখি মন গৌরাঙ্গের টোলে।
হয় ভাগবত, গীতা, হরিকথা প্রেমদাতা নিতাই বলে।।
আমার গৌরাঙ্গ চার শাস্ত্রে নিপুণ
সাংখ্য-পাতঞ্জল শাস্ত্রে কভু নহে ঊন,
গাম্ভীর্য, মাধুর্য, ধৈর্য, ষড়ৈশ্বর্য হৃদকমলে।।
তিনি প্রধান হেডমাস্টার, করেন ন্যায়রত্ন বিচার,
ধর্মেতে ধার্মিক তিনি সদাই সৎ-আচার,
চান না পড়ুয়াদের জেতের বিচার রাধারাণীর নাম নিলে।।
আগে ধরান প্রথম ভাগ, যাতে হয় রে অনুরাগ,
রাগ বৃদ্ধি হ’লে পরে দেয় রে বিরাগ,
তাতে হ’লে বৈরাগ্য দেয় দেগে দাগ,
সেই দাগে দাগে বুলালে প্রেমের বিদ্যা মিলে।।
হলে বর্ণ-পরিচয় যাবে ভেদাভেদ নিশ্চয়,
তখন কৃষ্ণময় এই জগৎ দেখে হবি রে তন্ময়,
এবে মনে কত হবে উদয়, পাবে উপাধি ক্ষ্যাপা ব’লে।।
যারে ধরান ইতিহাস, মনে বাড়ে তার উল্লাস,
যবে বোধোদয় হয় শেষ তখন হয় রে বিশ্বাস,
মনের আঁধার ঘুচে গেলে।।
শব্দ-সন্ধি ব্যাকরণ-ব্যাখ্যায় ধাতুর নিরূপণ,
সাংখ্য-পাতঞ্জল শাস্ত্রে মিলিবে গণন,
হবে সংখ্যা মিলে একা, আদি অন্ত মধ্য মূলে।।
পরে স্বভাবের সাধন, পাবি রূপে দরশন,
স্বভাব-দোষ থাকিলে হবে স্বভাব-সংশোধন,
পাবি গুরুর করণ, ধরণ-ধারণ, পাবি জীব-রতি ঘুচে গেলে।।
যদি পড়তে যাবি মন,
দাস নবদ্বীপের কথা শোন,
গুরু বলাইচাঁদের চরণ আগে কর সাধন।
হবে সাধন-সিদ্ধ-প্রেমের বৃদ্ধি, যুগল-মন্ত্রেতে সিদ্ধ হ’লে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- কেঁদুলীর মেলায় বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, মানভূম, মূর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান প্রভৃতি জেলা হইতে সমাগত বাউলদের নিকট হইতে বিশেষভাব গৃহীত বাউল গান।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….