আমার প্রাণের ঠাকুর রে ঠাকুর
তুমি যেন ভুলে যেয়ো না আমারে।
এই সংসারের মাঝে থেকে নানা কাজে
আমি ভুলে যাই যে তোমারে।।
পরান ভরিয়া তোমায় ডাকিতে
এক দিন জল ঝরে নাই আমার আঁখিতে;
আমি করেছি গায়ের জোর
বিষয়েতে হয়ে বিভোর
বাঁধা আছি ঘোঁর আধারে।।
মায়ার খেলা খেলে ভবের পর
আমি পরকে আপন ভেবে করলাম ঘর;
আত্মীয়-স্বজন
মায়া-মোহের স্বপন
কেবল তুমি চির আপন-সংসারে।।
কতো যতনে ঘর বাড়ি সাজাই
সে-ঘরে তোমার পূজার আসন পাতি নাই;
তোমার পূজার নৈবেদ্য
করেছি অশুদ্ধ
আমার মনের মলিন আচারে।।
দেহের ময়লা মাটি কবে ছাড়াবো
তোমার চরণ ছায়ায় পরান জুড়াবো;
পাগল বিজয় বলে, হরি
উপায় নাহি হেরি
তোমা বিনা ঘোরপাথারে।।