ঘরের গিন্নি ঘরে নাই গুরু ভজে কে
গুরু ভজে কে আমার পতি ভজে কে।।
ছাই কপালি ঘরের গিন্নি পাড়ো পেত্নী ধরেছে
ঘর ছেড়ে জঙ্গলে যেয়ে, শাড়া গাছে চড়েছে।।
ছাই কপালির কর্মে ছাই, রাধা ভাতের বরাত নাই,
ক্ষুধার জ্বালায় সূতীশালায় আঁসটে চাটতেছে,
কত উটকি পড়িতেছে।।
কৃষ্ণের অনন্ত শক্তি, তিন শক্তি তার হয় প্রধান,
জীব শক্তি চিৎ শক্তি, মায়া মক্তি ধরে নাম,
তটস্থ তাঁর জীব শক্তি ভুল যেয়ে কৃষ্ণ শক্তি,
পুরুষেরই মায়ায় মায়ায় পুরুষ সেজেছে, আপনস্বরূপ ত্যাজেছে।।
খালি ঘরে গালি ধরে অহম সোহং দুই পাঠা,
কাত্যায়নী আরাধিয়ে, ঐ দুই পাঠা বলি দিয়ে,
ব্রজের সব গোপের মেয়ে প্রাপ্ত করতেছে, সেই পরম পতিকে।।
কত করলাম তাবিজ কবজ, কতই করলাম পূজা ধ্যান,
কত করলাম উপস পারণ দুই বেলা আরতি গান,
কত তীর্থে লাইলাম, কত প্রসাদ খাইলাম,
তবু না ছাড়াতে পারলাম, পোড়া পেত্মীকে, আমি একটি পলকে।।
গোসাই বলাই চাঁদে চৈতন্য হরি, আমার মাথায় দাও রাঙ্গা পাও,
এইবার আমার ভূত ছাড়াও,
সঙ্গে করে লয়ে চল জন্ম অন্ধকে, এই ভূতের দেশ থেকে।।