(তাল – একতালা)
হরিচাঁদ প্রেমের আগুণ লাগল গায়।
আমার হৃদ কাননে, আগুণ লেগে, ধর্ম্ম মন্দির দগ্ধ হয়।।
মন্দিরে পুণ্য ধন ছিল, ও তা পুড়ে ছাই হল,
আমার সাধন ভজন, গিল্টির গহনা, সব পুড়ে গেল;
আমার ঘৃণা আসন লজ্জা বসন গো,
এক কালে পুড়ে হ’ল ভষ্মময়।।
অনলের সহায় মন পবন, প্রেম ঘৃত ঢালছে গুরু ধন,
আমার হিংসা নিন্দা, মহিষ গন্ডার, মল অগনণ,
ও সে কাম বাঘিনী ত্য’জল জীবন গো
ক্রোধ গজ পুড়ে ধরনী লোটায়।।
কুলমান পড়সী যারা, দেশ ছেড়ে পলা’ল তারা,
আমার মুক্তিবাগে, আগুন লেগে, পুড়ে হয় সারা,
আমার যোগ নিদ্রা, বিমাতা ছিল গো,
অষ্টপাশ ছেড়ে মা, পালায়ে যায়।।
প্রতিষ্ঠা ভগিনী ছিল মোর, অনল দেখে সে করে সোর,
আমার প্রেমের আগুণ, নিবাইতে ক’রল বহু জোর,
ও তার পূড়ে গেল, মান্য বাসর গো,
তাই দেখে বিবেক, ভাই নেচে বেড়ায়।।
অনলের তরঙ্গ দেখে, তারকচাঁদ বলেছে ডেকে,
ও তোর জীবন যৌবন আহুরি দে, কাজ কি প্রাণ রেখে;
গোঁসাই মহানন্দ, বলছে সুখে গো
অশ্বিনীর মহাযজ্ঞের সময় যায়।।