(তাল-এক তালা)
আমার জন্ম মৃত্যু দুট অশৌচ পল।
তাইতে পূজা ব্রত, হল হত,
আমার বৈদিক ক্রিয়া বাদ পড়িল, হারে বাদ পড়িল।।
হরি প্রেমে রোগে আক্রমণ, আমায় করিল যখন,
ছিল অষ্ট পাশে, মা মহামায়া, ত্যজিল জীবন,
গুরু কৃপা ক্রমে, বিবেক নামে,
সেই দিনে এক পুত্র হল, হারে পুত্র হল।।
ঠেকেছি গুরুদশার দায়, ভাগ্যে কি যেন কি হয়,
শৌচ আচার ত্যাজল আমায়, হ’লেম অশৌচী আশ্রয়,
আমায় সাজিয়ে বেহাল, পথের কাঙ্গাল, ভাবের উত্তরী,
এক গলায় দিল, হারে গলায় দিল।।
শ্রীহরিপদ পদ্ম গয়ায়, শ্রীগুরু পাঠলেন আমায়,
যোগ মায়া জননীর শ্রাদ্ধ করিবার আশায়,
আমার সব ঘুচায়ে মন মুড়ায়ে,
মত পোড়া আউল করিল, আউল করিল।।
কটিতে কটকৌপিন দিয়ে, অনুরাগ ডোর তায় পরায়ে,
নিহেতু এক শিক্ষা শিরে, দিল ঝুলায়ে,
আমায় ভক্তি তিলক ফোঁটা দিয়ে,
বিনা সূতের মালা দিল, হারে মালা দিল।।
মহানন্দের ভারতি, এই রূপে সেজে প্রকৃতি,
দিবা নিশি সেবা কর শ্রীগুরু পতি, অশ্বিনী তোর
কি দুর্গতি, গুরুর প্রতি রতি না হল, হারে মতি না হল।।