আমার এক চাকর আছে ভাই,
মনের ভাব জেনে সে কার্য্য করে, হারে এমন নফর দেখি নাই।
ও তার গুণের কথা, বলব কোথা, গুণের বলিহারী যাই।
যখন যাহা বাঞ্ছা করি, পলকে না হতে দেরী,
অমনি দেয় সে যোগার করি, হারে তার মান-অভিমান নাই।
সে কোথায় থাকে, কেউ না দেখে, তারে খুঁজে নারে পাই।।
যখনে ঘুমে থাকি, সে তখন দেয়গো চৌকী,
আমার সুখেতে সুখী, হা রে তার আত্মসুখ আর নাই।
আমার পিপাসার জল, ক্ষুধার অন্ন, মনে করিলে অমনি পাই।।
খাটনির বিরাম নাই মোটে, সে পাটনি হয়ে পারের ঘাটে,
পার করে দেয় নিষ্কপটে, হারে তার পারের মাশুল নাই।
আমার এই বাসনা রাত্রি দিন, মরি লয়ে তার বালাই।।
সে আমার এমনি ভৃত্য, কে জানে তার মাহাত্ম্য,
কিঞ্চিত জানিয়া তত্ত্ব, পাগোল হয় ভোলানাথ সাই।
ও সে ত্যাজে কাশি, শ্মশানবাসী, অঙ্গে মাখে চিতার ছাই।।
কখন শ্যাম, কখন শ্যামা, ত্রেতায় রাম অপার মহিমা,
ও রূপের তার নাই উপমা, ভারত পুরানে শুনতে পাই,
ও সে ওড়াকান্দি হরিচন্দ্র, নবদ্বীপ ছিল নিমাই।।
অশ্বিনী তুই ভ্রান্ত মনে, তারে চাকর বলিস কোন পরানে,
শঙ্কা নাই কি তোর মনে, চুপে থাক শ্রীগুরুর দোহাই
সে যে কোটি-ব্রহ্ম শিরোমণি রে, তার তুল্য দিতে নাই।।