রোগের ব্যবস্থা
পয়ার
লোক আসে প্রভুস্থানে হ’য়ে রোগযুক্ত।
সংকীর্তনে গড়ি দিলে হয় রোগমুক্ত।।
রোগ জানাইয়া সবে বলিত কাতরে।
রোগমুক্ত হ’ত প্রভু দিলে আজ্ঞা করে।।
প্রভু বলিতেন যদি রোগমুক্তি চাও।
যে রোগের বৃদ্ধি যাতে তাই গিয়া খাও।।
তিন সন্ধ্যা ধুলি মাখ তুলসীর তলা।
জ্বর হ’লে পথ্য দেন তেঁতুলের গোলা।।
বেদনা অজীর্ণ বমি কিংবা অম্ল পিত্তে।
তেঁতুল গুলিয়া খায় পিতলের পাত্রে।।
মহারোগে অঙ্গে মাখে গোময় গোমূত্র।
কেহ বা আরোগ্য হয় প্রভু আজ্ঞামাত্র।।
রোগ জানাইয়া যায় মানসা করিয়ে।
মানসিক টাকা দেয় রোগমুক্ত হ’য়ে।।
মানসা করিত লোকে যার যেই শক্তি।
একান্ত মনেতে যার যেইরূপ ভক্তি।।
মুদ্রাপানে প্রভু নাহি চাহিয়া ফিরিয়া।
উঠে যাইতেন প্রভু সে মুদ্রা ফেলিয়া।।
ভক্তে জিজ্ঞাসিত প্রভু কোথা রাখি ধন।
প্রভু বলে যার ধন তাহার সদন।।
ভক্তগণ এইসব ইঙ্গিত বুঝিয়া।
লক্ষ্মীর নিকট ধন দিতেন আনিয়া।।
পৌষেতে আমন ধান্য কাটিয়া কাটিয়া।
মোচন করিয়া ভক্ত দিত পাঠাইয়া।।
দধি দুগ্ধ ঘৃত নানাবিধ তরকারি।
পায়স পিষ্টক চিনি সন্দেশ মিছরী।।
কমলা কদলী কুল দাড়িম্ব সুন্দর।
আম জাম নারিকেল খাদ্য মনোহর।।
ভক্তগণে দ্রব্য আনে প্রভুর সেবায়।
লক্ষ্মীর নিকটে সব আনন্দে যোগায়।।
কালেতে যখন যে নূতন দ্রব্য পেত।
ভক্তগণে এনে তা ওঢ়াকাঁদি দিত।।
কেহ কেহ লয়ে যেত আপন বাসরে।
নিজগৃহে লইয়া প্রভুর সেবা করে।।
নূতন আমন ধান্য হইলে বিপুল।
আগ্ ধান্য রাখে কেহ আতপ তণ্ডুল।।
প্রভুভক্ত সুচরিত যেন শুধু মধু।
কবি কহে কর্ণ ভরি পিও সব সাধু।।