(তাল-গড়খেমটা)
তোরা কেন গৌর বলিস কেঁদে ফিরিস
পুড়ে মরিস প্রেমের পোড়া
ও নাম লোভ মেটে না ক্ষোভ ছোটে না,
গৌর প্রেমের এম্নি ধারা।।
জানিস না ঐ যে গৌর ছিল, মধুর বৃন্দাবনের কাল ছোড়া।
নারী মন করে চুরি, সাধু ভারী, হয়েছে বৈরাগীর গোঁড়া।।
ছিল ও ব্রজের বালক, রাধার খাতক, রাই পদে বিক্রীত সারা,
দাসখতে নাম লিখিয়ে, দায়িক হয়ে, শোধ দিল কই তার এক কড়া।।
চিরকাল জানি ওটা, স্বভাব শঠা, শিকলি কাটা না লয় পড়া।
চাউল ছোলা খেয়ে মিঠে, ঠোটে ঠোটে, উড়ে পলায় না যায় ধরা।।
গোকুলের শ্যাম শুকপাখী, সুখের পাখী, পায় ছিল প্রেম শিকলি পরা,
শিকলের কল খসায়ে, এল ধেয়ে, আর গেল না গোয়ালপাড়া।।
সইরে গোলকচাঁদ, এই হরিচাঁদ, গোলকেরচাঁদের দুঃখ পাশরা,
চাঁদে চাঁদে মিশে গেল, তারক হ’ল, সে চাঁদ বিনে ছন্নছাড়া।।